লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের বটতলা মোড়-টিকটিকি বাজার আঞ্চলিক সড়কের পুর্ণ সংস্কারের নামে কার্পেটিং ভেঙ্গে খানাখন্দের সৃষ্টি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির পুর্ণ সংস্কারের নামে কার্পেটিং ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ কারণে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কারণ রাস্তার উঠে যাওয়া খোয়াতে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে।
জানা যায়, ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের বটতলা মোড়-টিকটিকি বাজার আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব প্রায় ৩কিলোমিটার। ইতিপূর্বে একবার এই আঞ্চলিক সড়কটির পুর্ণ নির্মাণ করা হয়।
এলজিইডির অধিনস্থ এই সড়কটি ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে কার্পেটিং না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই সড়কে ট্রাক, মাইক্রো, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, ভ্যান, ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ক দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুনগামারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মানুষ লালমনিরহাট জেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক দিন ধরে কার্পেটিং না করায় সড়কটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক এস এম হাসান আলী জানান, এই এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু এ সড়ক খারাপ হওয়ায় যানবাহনের ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে।
ইজিবাইক শজিদুল ইসলাম, দুলাল হোসেন জানান, সড়কে নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। সময় অনেক বেশি লাগে যাতায়াতে। তাছাড়া ঝাঁকির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে এবং সাধারণ পথচারীরা তো খালি পায়ে হাঁটতে পারেনা।
ধাইরখাতা গ্রামের রশিদুল ইসলাম রিপন বলেন, ধুলা, বালি উরে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এতে করে ঘর-বাড়ি, ফসলের ক্ষেত ধুসর রং ধারণ করেছে। প্রত্যেকের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। যা পূরণ হবার নয়।
উল্লেখ্য যে, উক্ত আঞ্চলিক সড়কের বড়বাড়ী জাতীয় মহাসড়ক হতে টিকটিকি বাজার অংশে পুর্ণ সংস্কার করা হলেও টিকটিকি বাজার উত্তর পার্শ্বের ব্রীজ হতে ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের বটতলা পর্যন্ত এখনও কার্পেটিং করা হয়নি।